সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

শিশুর ডায়রিয়া হলে বাড়িতে করণীয় — সচেতনতায় বাঁচতে পারে প্রিয় জীবন

 


শিশুর ডায়রিয়া হলে বাড়িতে করণীয় — সচেতনতায় বাঁচতে পারে প্রিয় জীবন

শিশুর পাতলা পায়খানা মানেই আতঙ্ক নয় — সঠিক যত্ন আর সচেতনতা হলেই বাড়িতেই মিলবে স্বস্তি।
জেনে নিন ঘরোয়া পর্যায়ে ডায়রিয়া সামলানোর সহজ ও কার্যকর উপায়।

শিশুর ডায়রিয়া দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সহজেই এই সমস্যা সামলানো সম্ভব। নিচে দেওয়া হলো ঘরে বসে শিশুর ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার চারটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—


✅ ১. পর্যাপ্ত তরল খাবার দেওয়া জরুরি

  • ছয় মাসের নিচের শিশু হলে বারবার বুকের দুধ দিন। পাশাপাশি কিছু পরিমাণ ওরাল স্যালাইন অথবা ফুটানো ঠান্ডা পানি খাওয়াতে পারেন।

  • ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুকে ওরাল স্যালাইনের পাশাপাশি পাতলা ভাতের মাড়, চিড়ার পানি ইত্যাদি দিন।

  • প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর পরিমান অনুযায়ী তরল দিন:

    • দুই বছর বয়স পর্যন্ত: ৫০–১০০ মিলি

    • দুই বছরের বেশি: ১০০–২০০ মিলি

  • যদি শিশু বমি করে, ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধীরে ধীরে আবার তরল দিন।


✅ ২. জিংক বড়ি খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ  (ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি)

  • ডায়রিয়া শুরুর পর থেকে প্রতিদিন জিংক বড়ি দিন, টানা ১০ দিন।

  • ২ মাস থেকে ৬ মাস বয়সী: প্রতিদিন ১০ মিগ্রা

  • ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী: প্রতিদিন ২০ মিগ্রা

  • শিশু যদি বড়ি গিলতে না পারে, বুকের দুধ বা স্যালাইনের  বা পরিষ্কার নিরাপদ পানির সঙ্গে মিশিয়ে চামচে খাওয়ান।

  • বড় শিশুরা পানি দিয়ে গিলে অথবা পানির সঙ্গে মিশিয়ে কাপ বা চামচ দিয়ে খেতে পারবে।

  • ডায়রিয়া ভালো হয়ে গেলেও পূর্ণ ১০ দিন জিংক বড়ি খাওয়াতে হবে।


✅ ৩. নিয়মিত স্বাভাবিক খাবার চালু রাখুন

  • শিশুর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই মাছ-ভাত, ডাল, নরম সবজি — এসব স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো বন্ধ করবেন না।

  • খাবার সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি।


✅ ৪. স্যালাইন তৈরি ও সংরক্ষণে সতর্কতা

  • স্যালাইন তৈরির আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

  • আধা লিটার (৫০ মিলিলিটার) পরিষ্কার পানি মেপে নিন। সবচেয়ে ভালো হয়, পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নেওয়া।

  • একটা প্যাকেট থেকে সবটুকু পাউডার একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢালুন। একটি প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার ফুটানো ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে নিন।

  • পাউডারটা সম্পূর্ণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত ভালো করে মেশান। ভালোভাবে গুলে নিয়ে ঢেকে রাখুন।

  • ১২ ঘণ্টা পর বেঁচে যাওয়া স্যালাইন ফেলে দিন।

  • স্যালাইন জ্বাল দেওয়া বা গরম করে খাওয়ানো যাবে না।


💡 অতিরিক্ত পরামর্শ:

  • ডায়রিয়ার সময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি, বিশেষ করে যদি শিশুর জ্বর, রক্তমিশ্রিত পায়খানা বা অতিরিক্ত দুর্বলতা দেখা দেয়।

Keywords:
Bangla Recipe, Bornali, বর্ণালী রেসিপি,  বর্ণালী, শিশুর ডায়রিয়া,  স্যালাইন তৈরি, শিশুর পাতলা পায়খানা, শিশুর ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ, ঘরোয়া পর্যায়ে ডায়রিয়া উপায়, শিশুর-যত্ন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ